মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী মজলুম আলেমদের মুক্তি ও সারা দেশে হেফাজতের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আজ সংবাদপত্রে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দেশের চারটি ইসলামী দলের শীর্ষনেতৃবৃন্দ। তারা হলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা শায়খ জিয়াউদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা ইসমাইল নুরপুরী, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজী।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা অত্যন্ত বেদনা ও কষ্টের সাথে উপলব্দি করে আসছি যে, দীর্ঘদিন ধরে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক আলেমকে বিনা অপরাধে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমদের নূন্যতম সম্মান দেখানো হচ্ছে না। তারা যতটুকু আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখে সেক্ষেত্রেও বৈষম্য করা হচ্ছে। দেশের শান্তিপ্রিয় আলেম সমাজের সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আদালত থেকে জামিন হওয়ার পরও আলেমদের কারাগারে বন্দী রাখার উদ্দেশ্যে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিন স্থগিত করা হচ্ছে, অথবা নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। আমরা এসব অন্যায় আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
যেসকল উলামায়ে কেরাম ইতিমধ্যেই কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, মাসের অধিকাংশ দিন তাদের হাজিরার জন্য আদালত থেকে আদালতে ঘুরপাক খেতে হচ্ছে। এসব রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আলেমদের হয়রানি বন্ধ করুন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,আমরা দেশের সরকার প্রধানকে জানাতে চাই, অবিলম্বে বিনাশর্তে কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি দিন। বিশেষ করে মাওলানা মামুনুল হক,মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা নুর হোসাইন নুরানী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনভীসহ যারা এখনো কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছে তাদেরকে মুক্তি দিয়ে ইলমে হাদীসের খেদমতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিন। আলেমদের ওপর এ ধরনের জুলুম ইসলামের সাথে শত্রুতা রাখার নামান্তর।
সুতরাং যারা নিজেদের মুসলিম বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন, তাদেরকে বলব, যদি আপনাদের মধ্যে ন্যূনতম ইসলামের প্রতি, আলেম উলামাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখেন, তাহলে এসব বরেণ্য আলেমদের মুক্তি দিয়ে সেটা বাস্তবে প্রমাণিত করুন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আলেম উলামাদের ওপর জুলুম করে অতীতে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না ইনশাআল্লাহ। এখনো সময় আছে, জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার পূর্বেই তাদেরকে মুক্তি দিয়ে দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি করার পরিবেশ, অবাধ চলাচল ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করুন।
আপনার মতামত লিখুন :