দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিশে শূরার বৈঠক গত ১২ তারিখ সোমবার শুরু হয়ে আজ বুধবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। টানা তিনদিন ধরে চলা শূরা কমিটির বৈঠকে জামিয়ার শাইখুল হাদিস হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দেওবন্দের মুফতি আবুল কাসেম নুমানি। এছাড়াও সদরুল মুদাররিসীন মনোনীত হয়েছেন মাওলানা আরশাদ মাদানী এবং ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মনোনীত হয়েছেন মাওলানা মুহাম্মাদ ক্বারী উসমান মানসুরপুরী৷
মুফতি আবুল কাসেম নুমানি শাইখুল হাদিস হিসেবে নতুন করে মনোনীত হলেও ম মুহতামিম হিসেবে এখনও বহাল রয়েছেন। কওমি ভিশনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে দেওবন্দের একাধিক সূত্র।
প্রথম দিবস : সূত্র জানায়, টানা তিনদিনের শূরা বৈঠকের প্রথম দিনে বাজেট প্রস্তাব এবং জামিয়ার হিসাব নিকাশ নিরীক্ষণ করেন শূরা সদস্যগণ। এসময় জামিয়ার আয়-ব্যয় এর পূর্ণ হিসাব শূরা সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন হিসাব রক্ষক। হিসাব উপস্থাপনের সময় জামিয়ার অন্যান্য সিনিয়র উস্তাদগণও উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দিবস : শূরার দ্বিতীয় দিনে মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ভবন নির্মাণ, শিক্ষার মান উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ করেন শূরার সদস্যগণ। দ্বিতীয় দিবসে মাদ্রাসা খোলার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তৃতীয় দিবস : মরহুম মুফতি সাইদ আহমদ পালনপুরি রহ. -এর ইনতিকালের পর তার পোস্টটি শূন্য হলে তৃতীয় দিন শূরা সদস্যদের বৈঠকে উক্ত পোস্টে জামিয়ার সাবেক মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নুমানি সাহেবকে শাইখুল হাদিস মনোনীত করা হয়। এছাড়াও সদরুল মুদাররিসীন মনোনীত হয়েছেন মাওলানা আরশাদ মাদানী এবং ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মনোনীত হয়েছেন মাওলানা মুহাম্মাদ ক্বারী উসমান মানসুরপুরী৷
দেওবন্দের মজলিসে শুরার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল, মাওলানা গোলাম মুহাম্মদ বাস্তানভী, মাওলানা আবদুল আলেম ফারুকী, মাওলানা আনোয়ারুর রহমান বিজনুরী, মাওলানা রহমতউল্লাহ কাশ্মীরি, মাওলানা শফিক বেঙ্গালুরু, সৈয়দ আনজার হুসেন মিয়া দেওবন্দী, মাওলানা মাহমুদ রাজস্থানী, মাওলানা মুফতি ইসমাইল মালিগাঁও, মাযাহেরে উলূম সাহারানপুরের নাজিম মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ আকিল, মাওলানা মালিক ইব্রাহিম, মাওলানা হাকিম কালেমুল্লাহ আলীগড়, সৈয়দ হাবিব আহমেদ, মুফতি নিজামউদ্দিন খামোশ এবং মাওলানা মুফতি আবুল কাসিম নোমানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।