অবশেষে হাইয়ার অধীনে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায়। আজ বাদে ফজর হাটহাজারী মাদ্রাসায় মসজিদে পরীক্ষার ব্যাপারে এ ঘোষণা দেন মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। এসময় তিনি বলেন, পরীক্ষার বিষয়ে তোমাদের ইখতিয়ার রয়েছে। যারা হাইয়াতে পরীক্ষা দিতে আগ্রহী না তারা মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিবে। আর যারা হাইয়ার অধীনে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক তাদের জন্যও সুযোগ রয়েছে।
হাটহাজারী মাদ্রাসায় পূর্বে থেকেই মাদ্রাসা বা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দেওয়ার ইখতিয়ার ছিল।
বাংলাদেশে মোদীর আগমন বিরোধী আন্দোলনে প্রায় ১৯ জন শহিদ হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে কওমি মাদ্রাসাসমূহের শিক্ষাবোর্ড আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে পরীক্ষা বর্জনের ডাক আসে। কওমি অঙ্গনে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের হস্তক্ষেপের জন্য হাইয়াকে দায়ি করা হয়। হাইয়া বর্জনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হাটহাজারী, পটিয়া ও যাত্রাবাড়ী অন্যতম। এক পর্যায়ে ছাত্রদের দাবির মুখে হাটহাজারী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ হাইয়া বর্জনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। বিভিন্ন মাদ্রাসায় নানা অজুহাতে ছাত্ররা হাইয়া বর্জন করলে জরুরি বৈঠকে বসে হাইয়া কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা পেছানো হয় তিন দিন। একদিন পার হতেই পূর্বের সিদ্ধান্তে ফিরে আসে হাটহাজারী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
মাদ্রাসার ছাত্রদের হঠাৎ হাইয়া বর্জনের কারণ অনুসন্ধানে কওমি ভিশন একাধিক ছাত্রের সাথে কথা বলে। তাদের সাথে কথা বলে নানা কারণ জানা যায়। হাইয়া বর্জনে কী কারণ দেখাচ্ছে মাদ্রাসার ছাত্ররা? জানতে হলে আমাদের এ সাক্ষাৎকারটি দেখুন। হাটহাজারী মাদ্রাসায় হাইয়া বর্জনের কারণ হিসেবে কী দেখছেন ছাত্ররা?